২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেবির সামনে আন্দোলনকারীরা গলায় শিক্ষা সনদ, হাতে ঝাড়ু নিয়ে অবস্থান করেন। সেখান থেকে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার যাবার রাস্তা তারা ঝাড়ু দেন। এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ঝাড়ু দেন। সেখান থেকে জগন্নাথ হল, এরপর ফুলার রোড হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আজকে যে দাবি নিয়ে আমরা একত্রিত হয়েছি, সেটা ইতোমধ্যে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য নয়। আমরা সামগ্রিক কোটা সংস্কারের কথা বলেছি। আমরা এখনো আশা করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।’
আন্দোলনের আরেকজন সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। তিনি অতীতে অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের দাবি রাখবেন।’
গত ১৮ মার্চ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেখান থেকে আজকের এই অভিনব প্রতিবাদের ঘোষণা দেয়া হয়।
কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।