উৎকণ্ঠার পর তীব্র কষ্ট নিয়ে এখন প্রিয়জনের লাশটি পাওয়ার জন্য কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা। প্রিয়জনের নাম লেখা প্ল্যাকার্ড বুকে বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে। কবে নাগাদ মৃতদেহ ফিরে পাবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিজেন শ্রেষ্ঠা বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় যাই আসুক আমরা ৪৯টি মৃতদেহ পেয়েছি। শনিবারের মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ হবে আশা করি। যাদেরকে চিহ্নিত করা যাবে না তাদের ডিএনএ টেস্ট হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম ফলো করা হচ্ছে তাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ার আগে কোনো মরদেহ হস্তান্তর হবে না।
মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ২২ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করার পর দেশে কীভাবে পাঠানো হবে তা নিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ৮ টি লাশ আছে তাদের মুখ মন্ডল দেখে ছবি মিলিয়ে সনাক্ত করা সম্ভব। ১৪ জনকে চেনার কোনো উপায়ই নেই। তবে তাদের মধ্যে কয়জন বাংলাদেশি তা বলেনি ফরেনসিকের কর্মকর্তারা।