বাংলাদেশে এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক ২টি চলচ্চিত্র

বিনোদন

বাংলাদেশে সচেতনতামূলক চলচ্চিত্রের সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ভিড়ে সচেতনতামূলক ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্র নির্মানে প্রযোজক ও নির্মাতাদের আগ্রহের জায়গাটাও অনেকাংশে কমে এসেছে। তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কিছুসংখ্যককে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। সচেতনতামূলক নির্মানে সুনাম অর্জন এবং জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। আজ থাকছে মরণব্যাধি এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক ২টি চলচ্চিত্র নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

মেঘলা আকাশ। এটি ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া একটি সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশী বিখ্যাত নারী চলচ্চিত্রকার নারগিস আক্তার। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর ব্যানারে নির্মিত এই সিনেমাটির মূল কাহিনী এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ইস্যু নিয়ে। ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী এবং আরও অভিনয় করেছেন আয়ুব খান, শাকিল খান, পূর্ণিমা, অমিত হাসান, রাজীব, শহিদুল আলম সাচ্চু, ফেরদৌসী মজুমদার, পিযুষ বান্ধেপাধ্যায় সহ আরো অনেকে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি।

নারগিস আক্তারের এই ছবিটি চলচ্চিত্র-সমালোচক ও দর্শকদের কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ মেঘলা আকাশ ২০০১ সালের জাতীয় পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার সহ মোট ছয়টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

মেঘলা আকাশ ছবির সঙ্গীত পরিচলনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত পরচালক আলাউদ্দিন আলী। মিতালী মুখার্জী, প্রতিক দে, খালিদ হাসান মিলু ও রাগব চৌধুরী সহ গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতও বাংলাদেশের কয়েকজন গুনী শিল্পী।

 

মেঘের কোলে রোদ। এই চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশী প্রখ্যাত নারী চলচ্চিত্রকার নারগিস আক্তার। পরিচালক ছবিটি নির্মাণ করেছেন একটি পরিছন্ন ও ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে। একই সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন এইচআইভি/এইডস এর উপর সচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক বৈশিষ্ট্য এবং সেইসাথে ধরে রেখেছেন ঢাকাই ছবির ধরন যেমন- গান, গানের সাথে নাচ, মারপিট এবং  অ্যাকশন দৃশ্য। ছবিটি মুক্তি লাভ করে ২০০৮ সালের ১ আগস্ট। জনসচেতনামূলক এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, পপি, টনি ডায়েস, দিতি, খুর্শিদুজ্জামান উত্পল, কবরী সারোয়ার, আহমেদ শরিফ সহ আরো অনেকে।

মেঘের কোলে রোদ ছবিটি দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছে দারুনভাবে প্রশংসিত হয় এবং এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর মোট ছবিটি পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *