টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল লাবনী আক্তার নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। লাবনী আক্তার কালিহাতী উপজেলার মালতী গ্রামের বিমলা ও বাবুল মন্ডলের মেয়ে। তাঁর বয়স ১০ বছর।
২৮ এপ্রিল শনিবার এলেঙ্গা উত্তরপাড়া ভাড়া বাসায় গোপনে ‘হৃদয় শিশু নিকেতন’ এর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী লাবনী আক্তারের সাথে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী এলাকার মৃত হাছেন আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর সাথে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। পাত্র আব্দুল্লাহর বয়স ১৫ বছর। নির্ধারিত দিনে বরের বোন জামাইসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এলেঙ্গা উত্তরপাড়া কনের বাসায় আসেন বরপক্ষ।
বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এলেঙ্গা পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ কণের বাসায় উপস্থিত হন। পরে তারা বাল্যবিবাহের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, মানবাধিকার কমিশন এলেঙ্গা পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ বাল্যবিবাহের বিষয়টি তাঁকে জানানোর পর তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন।
পরে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের নিকট থেকে ছেলে-মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার শর্তে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।