১৬ এপ্রিল সোমবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গত ১০ এপ্রিল সুফিয়া কামাল হলে সংগঠিত অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বহিষ্কৃতরা সবাই কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- গত ১০ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার, দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২৪ জন নেতাকর্মীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা হলেন-
ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন।
কবি সুফিয়া কামাল হল শাখার সহ-সভাপতি মোর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা ও মিরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি।
সহ-সম্পাদক শ্রাবনী।
আর্থ এন্ড ইনভারনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারিমন আক্তার।
চারুকলা বিভাগের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা।
নাট্যকলা বিভাগের লিজা ও মিথিলা নুসরাত চৈত্রী।
সংগীত বিভাগের সোনম সীথি, প্রিয়াংকা দে ও প্রভা।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা।
চারুকলা বিভাগের সুদীপ্তা মন্ডল ও অনামিকা দাশ।
উর্দু বিভাগের মিতু।
ভূতত্ত্ব বিভাগের শিলা ও জাকিয়া।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা ও রুনা।
শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের জুঁই।
বাংলা বিভাগের তানজিলা ও
সমাজ কল্যাণ বিভাগের তাজ।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল রাত বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন সাধারণ ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে হল সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। এ সময় অভিযোগ উঠে এশা ওই হলের একজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এখনো তদন্ত করছেন।