পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

খুলনা বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ রাজশাহী বিভাগ সমগ্র বাংলাদেশ

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, নওগাঁ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এই ঘটনায় ঘটে।

সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, কামারখন্দ ও কাজীপুর উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন এবং ৪ জন্য আহত হয়েছেন।

শাহজাদপুর উপজেলার ছয়আনি গ্রামে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে ফারুক খানের ছেলে নাবিল (১৭) ও রাশেদুল ইসলামের ছেলে পলিন(১৫) মারা যান। এ সময় আহত হয় আরো চারজন।

কামারখন্দ উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় কাদের হোসেন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিহতের বাড়ির পাশে মাঠে এ ঘটনা ঘটে। কাদের হোসেন উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের পেস্তককুড়া গ্রামের মৃত আহের মণ্ডলের ছেলে।

কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানি গ্রামের মো. শামসুল হক (৫৫) ও তার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরমান হোসেন (১৪) বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে ক্ষেত থেকে বাদাম তোলার সময় বজ্রপাতে তারা মারা যান।

মাগুরাঃ
এদিকে মাগুরা সদর অক্কুর পাড়া ও রায়গ্রাম এবং শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন অক্কুর পাড়ার ভ্যানচালক শামীম, ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম ও জয়পুরহাটের মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার আক্কুরপাড়া এলাকায় মাগুরা থেকে শ্রীপুর যাওয়ার সময় মারা যান ভ্যানচালক শামীম।

সদরের রায়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত অপর ব্যক্তির নাম আলম মিয়া। তিনি সদর উপজেলার বুলুগ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র। মাগুরা শহর থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনি বজ্রপাতের শিকার হন।

অন্যদিকে শালিখা উপজেলার বুনাগাতী এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে কাজ করার সময় প্রবল বজ্রপাত ও ঝড়ে টাওয়ার থেকে পড়ে যান মেহেদী নামে এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালীঃ
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে ইকবাল হাসনাত ওরফে পিয়াল (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পিয়াল নোয়াখালী জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহত পিয়ালের বাবার নাম সোহেল রানা ওরফে জগলু। তিনি নোয়াখালী সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে পিয়াল বড়।
বুদ্ধপূর্ণিমার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল সে। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে বন্ধুরা সবাই দ্রুত মাঠ থেকে বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। এ সময় বিকট শব্দে একটি বজ্রপাত পিয়ালের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় রোরবার সকালে বজ্রপাতে আবদুর রহিম (৫০) নামের একজন ধান কাটার শ্রমিক মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার জামবুরাছড়া গ্রামে। জানা গেছে, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দুরুইন গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক রোববার সকালে খেতে ধান কাটছিলেন।
বৃষ্টিপাত শুরু হলে হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে। এতে আবদুর রহিম গুরুতর আহত হন। অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁঃ
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিমুলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামে বজ্রপাতে মোছা. সোনাভান (২৪) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। এ ঘটনার সময় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। সোনাভান ওই গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী। আহতরা হলেন, নিহতের স্বামী রুবেল হোসেন, প্রতিবেশী সালেহা বিবি ও রাজু হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *