পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে শারীরিক বৈশিষ্টের পার্থক্য আছে, তা সকলেরই জানা। যেমন, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের ঠান্ডা বেশি লাগে। তেমনই, ঘুম ব্যাপারটি পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি প্রয়োজন হয়।
ইংল্যান্ডের লবরো ইউনিভারসিটি-র ‘স্লিপ রিসার্চ সেন্টার’-এর সমীক্ষায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহিলাদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি হওয়ার মূল কারণ দুটি—
১। সারাদিনের কাজের রেশ কাটাতে মহিলাদের মস্তিষ্ক বেশি সময় নেয়।
২। জেগে থাকা অবস্থায় পুরুষের তুলনায় মহিলাদের মস্তিষ্ক বেশি কাজ করে।
মহিলাদের বেশি সময় ঘুমনোর প্রয়োজন কেন?
মহিলাদের কেন বেশি ঘুম প্রয়োজন, এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এ বিষয়ে গবেষকরা ৫টি প্রধান কারণের কথা উল্লেখ করেছেন।
১। ৩০ থেকে ৬০ বছরের মহিলাদের, গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। এমনই কথা বলছে ‘ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন’।
২। মহিলাদের ঘুম কম হলে ওজন বৃদ্ধি পায় খুব তাড়াতাড়ি। কারণ, ঘুম কম হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ বেশি পরিমাণে হয়। এর ফলে খিদে বেড়ে যায়। এবং সঙ্গে সঙ্গে ওজনও।
৩। ‘হরমোনাল চেঞ্জ’ নারীদেহের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া। শুধুমাত্র বয়ঃসন্ধির সময়েই নয়, গর্ভাবস্থা ও মেনোপজের সময়েও মহিলাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এই হরমোনাল চেঞ্জের সময় নারীদেহে বিশ্রামের চাহিদা বাড়ে। এসময় একটু বেশি ঘুমানো ভালো।
৪। কর্মজীবী মহিলাদের পুরুষের তুলনায় পরিশ্রম বেশি হয়। চাকরির পাশাপাশি বাড়ির কাজও সামলাতে হয় তাঁদের। মাল্টিটাসকিং এর জন্য মহিলাদের ব্রেনও বেশি কাজ করে। ফলে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে মহিলাদের ঘুমনোটা খুবই দরকার।
৫। সারা দিনের নানা কাজের ফাঁকে অনেক সময়েই নিজের কথা ভুলে যান মহিলারা। সংসার সামলে, চাকরি সামলে প্রয়োজনীয় ঘুমের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমে যায়। এর ফলে, মহিলারা অনেক সময়েই বেশ খিটখিটে হয়ে যায়।
গবেষকদের মতে, এই পাঁচটি কারণই শুধু নয়, মহিলাদের যে বেশি ঘুমের প্রয়োজন তার জন্য আরও অনেক কারণ রয়েছে।
বেশি ঘুম বলতে অতিরিক্ত ২০ মিনিট ঘুমানোর কথা বলছেন গবেষকরা।
অর্থাৎ, পুরুষ সঙ্গীর তুলনায় একস্ট্রা ২০ মিনিট ঘুমাতে পারলেই মহিলাদের জীবন হবে সুখের।