২১০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থার সংকটে ফেইসবুক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

অপপ্রচার, ভুয়া খবর ঠেকাতে ফেইসবুকের ব্যর্থতা নিয়ে কয়েক মাস ধরে সরব ইউরোপ-আমেরিকার রাজনীতিবিদেরা। তাঁদের চোখে ফেইসবুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে কংগ্রেসের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে জুকারবার্গকে। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তাঁকে।

কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকা নামের একটি নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক থেকে তথ্য হাতিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের পক্ষে কাজে লাগিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জুকারবার্গকে তীব্র সমালোচনা করছেন রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকেরা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পাঁচ দিন চুপচাপ ছিলেন জুকারবার্গ। অবশেষে মুখ খুললেন জুকারবার্গ। ঘটনা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এ ঘটনায় বিশাল আস্থার সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।

বিষয়টি জানাজানি হবার পর থেকে ফেইসবুকের শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ কমে গেছে। তথ্য সংগ্রাহক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে তথ্য তুলে দেওয়ার বিপদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষা বলছে, অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক সামাজিক যোগাযোগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বাস করে না বলেই মত দিয়েছেন। ফলে মার্ক জুকারবার্গ আর তাঁর ফেইসবুককে দ্রুত বদলানো ছাড়া উপায় নেই।

গত বছরেই শোনা যাচ্ছিল ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারেন ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু এখন বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম কোম্পানি ফেইসবুকের নেতৃত্ব দিতে তিনি সক্ষম কিনা কিংবা ২১০ কোটি ফেইসবুক ব্যবহারকারী তাঁর ওপর আস্থা রাখবে কিনা সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *