সোমবার পবিত্র জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। এতে নিহত হন অন্তত ৫৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
এর মধ্যে, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া নিন্দা ও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে যে, মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর অনুষ্ঠানে সেদেশে থাকা ৮৬টি দেশের দূতদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, সেখানে উপস্থিত হন মাত্র ৩৩টি দেশের প্রতিনিধিরা।
ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে আনে। ফিলিস্তিনিরা মনে করে,এই দূতাবাস খোলার অর্থ পুরো জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের স্বীকৃতি দেওয়া। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ফিলিস্তিনি সীমান্তে বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের জানাজাকে ঘিরে গাজায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইসরায়েলের সৃষ্টিতে ফিলিস্তিনিদের গণ-উচ্ছেদের ৭০তম বার্ষিকীর দিনে নিহত ব্যক্তিদের দাফন করা হচ্ছে।
প্রসঙতঃ ফিলিস্তিনিদের যে এলাকা থেকে জোরপূর্বক উৎখাত করা হয়েছিল, সেখানে প্রত্যাবর্তনে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাসের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল ওই বিক্ষোভ চলছিল। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই দিনকে স্মরণ করে প্রতিবছর নাকবা (মহাবিষাদ) দিবস পালন করে ফিলিস্তিনিরা।