সিঙ্গাপুরে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। আগামী ১২ জুন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এক টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, দুই নেতাই চেষ্টা করবেন যেন এ বৈঠকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটা অনন্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
উত্তর কোরিয়ার হাতে আটক থাকা তিনজন আমেরিকানের মুক্তির কয়েক ঘন্টা পরই মি. ট্রাম্পের দিক থেকে এ ঘোষণা এলো।
উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার সঙ্গে এর আগে ক্ষমতাসীন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ও কিম জং-উনের শীর্ষ বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা, এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করা।
২০০৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিন্দার মুখে দেশটি দাবি করে আসছে যে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যই তাদের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন।
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও স্থগিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্র চায় পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে পুরোপুরি সরে আসুক উত্তর কোরিয়া।
কিম প্রশাসনের এমন পরিবর্তনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপকেই বার বার কৃতিত্ব দিয়েছে ।
তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের প্রশাসন এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বলেই তাদের অবস্থানের এই পরিবর্তন।