বাগেরহাট সদর উপজেলায় কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ফকিরহাট উপজেলায় কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ পান করে অসুস্থ হওয়ার আতঙ্কে এক গ্রামের প্রায় ৯০ জন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভীড় জমিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ও মির্জাপুর গ্রামে কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হন। পরে এলাকাবাসী ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
‘চাকুলি গ্রামের বেল্লাল শেখের পোষা গরুর দুধ ওই গ্রামের প্রায় দশটি পরিবার নিয়মিত পান (টাকার বিনিময়ে) করে আসছে। ওই দশটি পরিবারে সদস্যসংখ্যা ১০০ জনের বেশি।
কয়েক দিন আগে কুকুরে কামড়ালে গাভিটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার কুকুরের কামড়ে ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জানাজানি হলে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা জলাতঙ্কের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আতঙ্কিত নারী ও শিশুসহ প্রায় ৯০ জন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের কুকুরে কামড়ানো প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালেরচিকিৎসকেরা বলছেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাকসিন নিলেই জলাতঙ্কের আশঙ্কা কেটে যাবে। আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।