দীর্ঘ ১০ বছর কারাবাসের পর বাদল ফরাজি নামের নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে ভারতের কারাগার থেকে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
চার বছর চিঠি আদান-প্রদানের পর বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত হয়েছে বাদল নিরপরাধ এবং তিনি এ দেশেরই নাগরিক। এজন্য দ্রুত তাঁকে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে ভারত থেকেও বাদলকে ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার বলা হচ্ছে।
একটি খুনের মামলার আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় ২০০৮ সালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার সময় বাদল ফরাজিকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পর্যটক ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের বাগেরহাট থেকে তাজমহল দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ মে নয়াদিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধা খুনের মামলায় বাদল সিং নামের এক আসামিকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ। ওই বছরের ১৩ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ভুল করে বাদল ফরাজিকে গ্রেপ্তার করে। ইংরেজি বা হিন্দি জানা না থাকায় তিনি বিএসএফ সদস্যদের নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
নিম্ন আদালতের রায়ে খুনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করেন দিল্লির আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টেও একই সাজা বহাল থাকে।
জানা যায়, বাদল কারাগারে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এবং কারাগার চত্বরের ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছেন। স্নাতকের বাইরেও আটটি ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন। এখন ইংরেজি ও হিন্দিতে অনর্গল কথা বলতে পারেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী বাদলকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে।