দেখতে পাকা হলেও আসলে এই আমগুলো পাকা নয়। ভেতরের আঁটিও অপরিপক্ব। এছাড়া আমে বিষাক্ত ইথোফেন হরমোন স্প্রে করা হয়েছে; যা ফরমালিনের চেয়েও ক্ষতিকর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফলের আড়তে যৌথ অভিযান চালায় র্যাব-১০, বিএসটিআই ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ সময় এক হাজার মণ আম ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় ছয় প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়।
আড়তের অধিকাংশ আম বাইরে হলুদ ও পাকা মনে হলেও ভেতরে কাঁচা। স্বাদে টক। গাছ থেকে অপরিপক্ব অবস্থায় পাড়া হয়েছে।
আড়তের একটি গুদামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা নষ্ট ও পচা খেজুর পাওয়ায় প্রায় ৪০ মণ খেজুরও ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
রাজশাহী থেকে ফজলী, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং সাতক্ষীরা থেকে ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়। ওই সব অঞ্চলের বাগানের আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই রাজধানীর বাজারে বিভিন্ন দোকানে পাকা আম দেখা যাচ্ছে, যা হওয়ার কথা নয়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম আগামী ২২ মে এর আগে কাউকে আম না কেনার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেননা ওই সময়ের আগে রাজশাহী ও সাতক্ষীরার বাগানের আম পরিপক্ক হবে না বলে সেগুলোকে কৃত্রিমভাবে পাকানো হতে পারে।
সাতক্ষীরা এলাকার আম ২২মে এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ৫ জুনের আগে বাজারে আনার বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা।