ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৫ মে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৫ মিনিটে তাঁরা বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন।
ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সাক্ষী হতে শুক্রবার একই মঞ্চে সমবেত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তিন নেতাকে দেখা গেল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। সকালে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন তাঁরা। পরে বাংলাদেশ ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় শান্তিনিকেতনে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করেছে ভারতীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (এনবিসিসি)’।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতীক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভবন দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, ইতিহাস ও শিক্ষা বিষয়ক অধ্যয়ন ও গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে কেন্দ্রে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’-এ তার এই আগ্রহ লিখিতরূপে স্থান পায়।
সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর প্রাসঙ্গিক ধারণাপত্র তৈরি, স্থান নির্বাচন, কারিগরি নকশা প্রণয়ন, ব্যয় প্রাক্কলন তেরি ইত্যাদি সম্পন্ন করে ২০১৬ সালের শেষভাগে বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।