কানাডার অন্টারিও প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচনে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি প্রাদেশিক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডলি বেগম দেশটির নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন।
এ বছরের এপ্রিলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান ডলি বেগম। একজন বাঙালির ঐতিহাসিক এই বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা। টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ডানফোরথ এলাকায় বেরিয়েছে বিজয় মিছিল।
ডলি বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলায়। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শিশুকালেই কানাডায় আসেন তিনি। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও প্ল্যান্টে মাস্টার্স করেছেন তিনি।
ডলি বেগমের নির্বাচনীর প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন কানাডার বাংলাদেশিরা।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন, ডলি সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে তাঁদের হয়ে দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেবেন। খুব সহজেই তাঁর কাছে সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে।
ইতোপুর্বে কোনো বাঙালী কানাডার কোন নির্বাচনে জিততে পারেননি। ডলি বেগম প্রথমবারের মতো প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শুধু কানাডায় নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।