বিপুল ভোটে গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করেছে।
এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল না পাওয়া গেলেও নৌকা প্রতীক ধানের শীষের চেয়ে প্রায় দুই লাখের মতো ভোটে এগিয়ে আছে। অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর ফলে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে বিজয়ী হওয়া এক প্রকার অসম্ভব বলে নিশ্চিত করেছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। ফলে জাহাঙ্গীরের জয় শতভাগ নিশ্চিত।
এদিকে ভোট ডাকাতি, জাল ভোট ও গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ এনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। সেখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে দলটি বলছে, এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার আবারো প্রমাণ করল তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের অবস্থান তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে, বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,গাজীপুরে ভোট ডাকাতি হয়েছে এটা তথ্য প্রমাণসহ বলতে হবে। এমনি ফাঁকা বুলি আওড়ালে হবে না। তিনি বলেন, নৌকার ব্যাচ লাগিয়ে ভোট ডাকাতি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে বিএনপির কর্মী। তারা গাজীপুর সিটির নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। যা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কাদের আরো বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।