রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। মরক্কো তখন ২-১ গোলে এগিয়ে। অন্যদিকে একই সময়ে পতুর্গাল-ইরান ম্যাচ ১-১ ড্রয়ে শেষ হতে যাচ্ছে। হঠাৎ স্পেনের সামনে চলে এল বিদায়ের ঝুঁকি!
মরক্কো প্রথম সুযোগটা পেল ১৪ মিনিটে। মাঝমাঠে ইনিয়েস্তা-রামোসের দেওয়া-নেওয়ার ভুল বোঝাবুঝিতে বলটা ছোঁ মেরে বক্সে দুর্দান্ত গতিতে ঢুকে পড়ল মরক্কোর ফরোয়ার্ড খালদি বুতাইব। ১-০ গোলে এগিয়ে গেল মরক্কো।
স্পেন অবশ্য গোলটা শোধ করতে সময় নিল ৫ মিনিট। ইনিয়েস্তার পাসে ইস্কোর ফিনিশিং। ১-১ গোলে খেলায় সমতা ফিরে এলো।
ড্র হলেও স্পেনের চিন্তা নেই। নির্ভাবনায় চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে, এটা যখন ভাবতে শুরু করেছেন স্প্যানিশ সমর্থকেরা, তখনই তাদের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াল এন-নেসিরির হেড! খেলার ৮১ মিনিটে ফয়সাল ফজরের কর্নারে নিঁখুত হেডে ২-১ গোলে এগিয়ে গেল মরক্কো।
পিছিয়ে থাকা স্পেন পারবে ফিরতে? ৯০ মিনিটেও এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
এমন সময় বক্সে জটলার মধ্যে দানি কারভাহালের ক্রসে দুর্দান্ত এক ফ্লিকে বল জালে জড়িয়ে দিলেন আসপাস। স্প্যনিশদের যখন শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাঁচানোর আনন্দ, তখনই অফসাইডের বাঁশি।
স্প্যানিশরা তখন দাবি জানায়, গোল হয়েছে। মরক্কো বলছে সহকারি রেফারির সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হোক। অতঃপর নেওয়া হলো গোল রিভিউ।
চরম নাটকীয়তা শেষে ভিএআরের সহায়তায় গোল পেয়ে গেল স্পেন। শেষ পর্যন্ত ২-২ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্পেন। বাদ পড়ার শঙ্কা জাগিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ল স্পেন।
একই গ্রুপের আরেক খেলায় ইরানের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ২য় স্থান পাকাপোক্ত করল সিয়ার-সেভেনের দল পর্তুগাল।
দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করল স্পেন ও পর্তুগাল। আগামী ৩০ তারিখ দিবাগত রাত ১২টায় ২য় রাউন্ডের খেলায় ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল, আর পরেরদিন ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন মুখোমুখি হবে ১ম গ্রুপের ২য় স্থান অর্জনকারী স্বাগতিক রাশিয়ার।