গ্রুপ এইচ নিয়ে আগে থেকেই একটা শঙ্কা ছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। কেবলমাত্র পোল্যান্ডকে বাদ দিয়ে বাকি তিন দলের অবস্থানই যে প্রায় একইরকম। ঘটনাটা তাই ঘটল।
খেলা শুরু হবার আগেও সেনেগাল ছিল গ্রুপ তালিকার শীর্ষে আর জাপান ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। দু দলেরই পয়েন্ট ছিল ৪-৪। গ্রুপে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় স্থানে ছিল কলম্বিয়া, আর পয়েন্টহীন অবস্থায় ছিল পোল্যান্ড।
আজকের খেলায় সেনেগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বের টিকেট নিশ্চিত করল কলম্বিয়া। আর গ্রুপের অন্যতম শক্তিশালী দল জাপানকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে চলে গেল পোল্যান্ড।
সবদিক থেকেই প্রায় সহাবস্থানে থাকল জাপান ও সেনেগাল। তাহলে সেনেগালই কেন বাদ পড়ল, জাপান উঠলই বা কিভাবে?
৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে নকআউট পর্বে উঠল কলম্বিয়া। জাপান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে শেষ ষোলোয় কলম্বিয়ার সঙ্গী হলো।
সেনেগালের সংগ্রহও জাপানের সমান, ৪ পয়েন্ট। এশিয়ান দলটির সঙ্গে তাদের গোল ব্যবধানও সমান(০)। আর তাই হিসাবে আসে ‘ফেয়ার প্লে’ অর্থাৎ কোন দল কত কম কার্ড দেখেছে।
শুধুমাত্র জাপানের চেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখার জন্যই ছিটকে পড়তে হলো সেনেগালকে। পোল্যান্ডের বিদায় আগেই নিশ্চিত ছিল।
গ্রুপ পর্বের এই তিন ম্যাচে চারটি হলুদ কার্ড দেখেছে জাপান। অন্যদিকে ছয়টি হলুদ কার্ড দেখেছে সেনেগাল।
সেনেগাল ম্যাচটা ড্র করতে পারলেও হলুদ কার্ড এভাবে আলোচনায় উঠে আসতো না। কিন্তু, ৭৪ মিনিটে কর্নার থেকে ইয়েরে মিনার হেডে কলম্বিয়ার জয়সূচক গোলটাই এভাবেই আলোচনায় তুলে এনেছে হলুদ কার্ডকে।