২০২০ সালে জাপানে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিককে সামনে রেখে পরিবেশবান্ধব সৌর সড়ক(সোলার রোড়) নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে জাপান। আগামী অর্থবছরেই টোকিওতে সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এসব সড়ক ব্যবহার শুরু হবে।
উন্নয়নের অংশ হিসেবে গত মে মাসে কানাগাওয়া প্রিফেকচারের সাগামিহারা এলাকায় সেভেন-ইলেভেন নামের একটি বিপণিবিতানের গাড়ি পার্কিংয়ে সৌর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
সেভেন-ইলেভেন বিপণিবিতান কর্তৃপক্ষের দাবী, তাঁদের গাড়ি পার্কিংয়ে নির্মিত সৌর সড়কটি বছরে ১৬ হাজার ১৪৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। যা বিপণিবিতানের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৯ শতাংশের বেশি সরবরাহ সৌর সড়ক প্রযুক্তির মাধ্যমে আসবে।
সৌর সড়কগুলোয় বসানো সৌরকোষ থেকে আসবে বিদ্যুতের সরবরাহ। ব্যবস্থাটিকে টেকসই আর মজবুত করতে কোষের ওপর সড়কের পৃষ্ঠটি নির্মিত হবে বিশেষ রেজিন দিয়ে। এই রেজিন ভেদ করে সূর্যের আলো ও উত্তাপ সৌরকোষ পর্যন্ত পৌঁছাবে। তবে গাড়ি চলাচলের ফলে সৃষ্ট চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কোষগুলো।
সৌর সড়ক নির্মানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয় এর নির্মাণ ব্যয়। ফ্রান্সে সৌর সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়েছে ৫০ লাখ ইউরো (৪৯ কোটি টাকার বেশি)।
টোকিওর স্থানীয় সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এই শহরের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে সৌর সড়কগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তি উন্নত দেশগুলোর অনেকেই বর্তমানে পরিবেশবান্ধব সৌর সড়ক নির্মানের দিকে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। জাপানের এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্ববাসী।