অবশেষে বাংলাদেশ বিমান শুরু করতে যাচ্ছে বিমানের মধ্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও মোবাইলে কথা বলার সুযোগ।আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা শুরু হবে।
বিমানের বহরে বোয়িং-এর তৈরি চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হতে চলেছে। প্রথম ড্রিমলাইনারটি আসবে আগামী আগস্টে। সবগুলো ড্রিমলাইনারেই উড্ডয়নরত অবস্থায় মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা যাবে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার। প্রথম দফায় ৯টি চ্যানেল থাকবে টেলিভিশনে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমানকে এসব সেবা দেয়ার সবুজ সংকেতও দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি।
নতুন সেবা চালু করতে প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৫টি স্যাটেলাইট দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এই সেবা দিবে।
এই সেবাগুলো চালু হলে বিমান যাত্রীরা থ্রিজি গতিতে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোন থেকেই কথা বলা যাবে দুনিয়ার যে কোনো জায়গায়।
বিমানের প্রত্যেক যাত্রী বিনামূল্যে তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ২০ মেগাবাইট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ফোনকল বা বাড়তি ডেটা ব্যবহারে খরচ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
দেশের প্রথম বিমান সংস্থা হিসেবে এই সেবা চালু করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।