পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরে মুঠোফোনে ভিডিও দেখা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে এক কিশোর আরেক কিশোরকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অপর কিশোরকে আটক করেছে।
নিহত কিশোরের নাম নয়ন মোল্লা (১৫)। সে পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় খান হোটেল নামের এক খাবার হোটেলের কর্মচারী ছিল। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানার পুলিশ ওই হোটেলের আরেক কিশোর কর্মচারীকে (১২) আটক করেছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নয়নকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থা সংকটজনক হলে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য নয়নকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ রোববার সকাল আটটার সময় নয়ন মারা যায়।
ঘটনার কারণ উল্লেখ করে আবদুল আলিম বলেন, নয়ন নিজের মুঠোফোনটি হোটেলের এক জায়গায় রেখে কাজ করছিল। অপর কিশোর কর্মচারী সে সময় নয়নের অগোচরে ফোনটি নিয়ে হোটেলের পেছনে গিয়ে ভিডিও দেখছিল। নয়ন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে রাগান্বিত হয়। সে ওই কিশোরের কাছে জানতে চায়, কেন তার ফোন নিয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। ঘটনা ওখানেই শেষ হয়ে যায়।
আবদুল আলিম আরও বলেন- ওই কিশোর যে সেই রাগ পুষে রেখেছিল, তা বোঝা যায়নি। রাতে হোটেল নয়ন ঘুমিয়ে গেলে ওই কিশোর তার গলায় ছুরি মারে। ছুরির আঘাতে নয়নের গলার বাঁ পাশ কেটে জখম হয়।
কলাপাড়া থানা সূত্রে জানা গেছে- কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামে নয়নের বাড়ি। তাঁর বাবার নাম খোকন মোল্লা।