গতকাল বুধবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ শিক্ষার্থীকে পেটালেন সভাপতি, দেখলেন প্রধান শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার আইসিটি বিষয়ের কোচিং ক্লাশ চলাকালীন অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শর্মি আক্তার, খাদিজা আক্তার ও নাহিদ হোসেনকে প্রধান শিক্ষকের অফিসে ডেকে নেন দপ্তরী খলিলুর রহমান। প্রধান শিক্ষকের অফিসে তখন বসা ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ ও তার স্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিতা। ৩ শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের অফিসে প্রবেশ করার পরই সভাপতি দপ্তরীকে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। বাইরে থেকে অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়ার পর ২টি বেত দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সভাপতি ফরিদ।
ঘটনার পর ৩ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে প্রধান শিক্ষকের অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের সামনে এমন নির্মম ঘটনা ঘটলেও তিনি এর কোন প্রতিবাদ করেননি।
খবর পেয়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থী শর্মির বাবা করিম রাড়ি বিদ্যালয়ে গিয়ে তার মেয়েকে পেটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন সভাপতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, সভাপতির মেয়ের সঙে নাহিদ মুঠোফোনে কথা বলেছে। আর কথা বলায় সহায়তা করেছে শর্মি ও খাদিজা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করেছেন। এদের মধ্যে নাহিদকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করার হুমকিও দিয়েছেন সভাপতি।