“একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারনা” শীর্ষক কর্মসূচী পালন

খবর ঢাকা বিভাগ সমগ্র বাংলাদেশ

সাশ্রয়ী মূল্য ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার হয় প্যাকেজিংয়ে। এ খাতে প্রায় ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনে ব্যবহার হয় ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ, অটোমোবাইলে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ইলেকট্রনিক্সে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং কৃষিতে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। বছরে বিশ্বে ৫০ হাজার কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদন করা হয়। প্রতিবছর ১০ কোটি সামুদ্রিক প্রাণী প্লাস্টিক দূষণের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে। প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার শুধু যে পরিবেশের ক্ষতি করছে তা নয়, এটি মানব দেহের জন্যও ব্যাপক ক্ষতিকর। কিডনী সমস্যা, স্থুলতাজনিত সমস্যা বৃদ্ধি, হরমোনজনিত রোগ বৃদ্ধি,পেটের পীড়া, হরমোনের সমস্যা, লিভারে সমস্যা, এমনকী অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের জন্য দায়ী এই প্লাস্টিক সামগ্রী।

১৬ জুলাই সোমবার মোহাম্মদপুরের সুলিমুল্লাহ রোডের মোহাম্মদপুর ক্লাব ও পার্কে  ‘দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং’ এর উদ্যোগে “একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক” বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এই প্রচারণার মাধ্যমে প্লাস্টকি উৎপাদনের সময় যেসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় তার মারাত্বক ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। রাসায়নিক দ্রব্য খাবার বা তরলের সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, এর ফলে মানুষ বিভিন্ন প্রকার অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই অসংক্রামক রোগগুলো হচ্ছে ক্যান্সার, ডায়াবেটিক, কিডনী সমস্যা, স্থুলতাজনিত সমস্যা বৃদ্ধি, হরমোনজনিত রোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি। অথচ একটু খেয়াল করলইে খাদ্যাভ্যাস কিছুটা পরিবর্তন করে এই ধরনরে অসংক্রামক রোগরে হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।

 

একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বলতে বোতল, কাপ, প্লেট, চামচ, ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। এ্যালুমিনিয়াম এবং স্টাইরোফোমজাত দ্রব্যও মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে থাকে। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহার হয়- নিকেল, ইথিলিন বেনজিন, বেনজিন। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য প্রতিদিন অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য তৈরি করছে। নিজেদের তৈরি করা সমস্যা শত শত বছর ধরে চলছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মওে তা চলবে, এরকম ধারণা প্রতিষ্ঠানটির। মানুষকে এইসব দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করাই হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং’ এর লক্ষ্য। মানুষ দীর্ঘস্থায়ী গ্লাস, সিরামিক, ধাতব, মাটির তৈরি বিভিন্ন পাত্র ব্যবহার করার পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল এবং রেস্টুরেন্টগুলোর মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপদ পানীয় জল ব্যবস্থা থাকালে কারোর প্লাস্টিক বোতল বহন করার প্রয়োজন হবে না।

‘দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং’ এর অন্যতম কার্যক্রম হচ্ছে যুব সমাজ/ছাত্র-ছাত্রীদেরকে “একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক”এর ক্ষতকির দিক বিষয়ে সচেতন ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ব্যবহারে নিরুৎসাহতি করতে প্রচারণা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *