প্রতি ঈদের মতো এবারের ঈদেও এসেছে আকর্ষনীয় বেশকিছু নতুন নাটক। গল্পে নতুন ধারার পাশাপাশি পরিচালনায়ও এসেছেন নতুন প্রজন্মের বেশ কয়েকজন। প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের সৃজনশীল মনোভাবের নতুন অনেক নাটক। এসব নাটকে ছিল তারকাদের সরব উপস্থিতি। রোমান্টিক, কমেডি সহ প্রায় সবধরনের নাটকেই পরিচালকরা মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। অনলাইনেও রিলিজ হয়েছে দারুণ কিছু কন্টেন্ট নির্ভর কাজ। সব মিলিয়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে দর্শকরা উপভোগ করেছেন বেশ কিছু মানসম্মত ভালো নাটক, টেলিফিল্ম।
চলুন তবে এবারের ঈদের সাড়া পাওয়া নাটকগুলো থেকে চোখ বুলিয়ে আসা যাক।
“আয়েশা”
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছিলেন, ‘আমার সিনেমা বা টেলিভিশন প্রযোজনাগুলো যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমার পক্ষপাতিত্ব সর্বহারার প্রতি, পরাজিত অথবা পরাজয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের প্রতি। বিজয়ীর প্রতি আমি কোনো টান বোধ করি না।’
দীর্ঘদিন পরে তিনি সেই পরাজয়ের গল্পই বলেছেন। সত্তর দশকের পটভূমি নিয়ে আনিসুল হকের ‘আয়েশামঙ্গল’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন ‘আয়েশা’।
‘আয়েশা’ এক সাধারণ বাঙালি নারীর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার গল্প। সেই হারানো স্বামীকে খুঁজে পাওয়ার এক আকুলতায় ভরা ভ্রমণের গল্প। কিংবা স্বামীর লাশটাও দেখতে না পাওয়ার এক হাহাকারময় গল্প। গল্পের সঙ্গে নির্মাণশৈলী, আবহসঙ্গীত ও অসাধারণ ক্যামেরার কাজ। নাটকটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। সঙ্গে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। তিশার সুনিপুণ অভিনয়ে আপন মনে দর্শকদের চোখ ভিজে উঠাই স্বাভাবিক।
“পাসপোর্ট”
ছোট এই জীবনে নানান বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত স্বপ্ন বুনতে থাকি। হয়তো’বা রাঙা স্বপ্নের পথচলা কখনো বড় কিংবা ছোট হয়। কিন্তু তাতেও নিজেদের সদা প্রস্তুত করতে এবং আনন্দ লুফে নিতে মরিয়া মানুষেরা। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নিজের আকাঙ্ক্ষা হয়তো ঠিকই পূরণ হয়, নিশ্চিত ভবিষ্যতের পথিকও হওয়া যায়। তবে মায়াডোরে বেঁধে থাকা মানুষগুলোর অন্তর দূরত্বের শঙ্কায় কেঁপে উঠে বারবার।
একজন মায়ের কাছে পৃথিবীর সব থেকে মূল্যবান সম্পদ তার সন্তান। মা চায় না তার সন্তান কখনো দূরে চলে যাক। গল্পে দেখা যায়, সন্তানকে নিজের কাছে আঁকড়ে রাখতে সন্তানের পাসপোর্ট লুকিয়া রাখার নাটক করেন মা। আবার সেই সন্তানই যখন তার মায়ের কষ্ট বুঝতে পারে, তখন নিজেই পাসপোর্ট হারানোর অভিনয় করে। এই পাসপোর্ট হারানো নিয়েই লুকাইতো ভালোবাসা প্রকাশ পায় ‘পাসপোর্ট’ নাটকে।
নাটকটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব, সাফা কবির, জিয়াউল হক পলাশ সহ আরো অনেকে। নাটকে অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠুকে দেখা যায় মায়ের চরিত্রে।
কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত নাটকটির গল্প যেমন ফ্রেশ, ঠিক তেমনি সুচারু তার প্রদর্শন ভঙ্গিমা। খুবই হৃদয়বিদারক বাস্তব ঘটনা হলেও, তার পরিবেশনের স্টাইল দেখে বিন্দুমাত্র ক্লান্ত হবার অবকাশ নেই। বরং নাটকের অনাবিল প্রবাহধারায় বিমোহিত হতে হয়।
নাটকে মুনিরা মিঠুর অনবদ্য অভিনয় সত্যিই দেখার মতো। তৌসিফ ও সাফা কবিরের অভিনয়ও যথেষ্ট ভালো ছিল। এছাড়া আরেকটি চরিত্রে পলাশও দারুণ করেছেন। সবমিলিয়ে ‘পাসপোর্ট’ এই ঈদের আরেকটি গোছানো এবং ভালো মানের নাটক।
“পাতা ঝরার দিন”
ইশিতার বাবার আলঝামাই রোগে আক্রান্ত। হঠাৎ একদিন তার বাবা হারিয়ে যায়। কোথায় যায় তা কেউ জানে না। পাগলের মত নিজের বাবাকে সব জায়গায় খুঁজতে থাকে ইশিতা। বাবা হারানোর গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে ভাই-ব্রাদার এক্সপ্রেসের আরেকটি নাটক ‘পাতা ঝরার দিন’।
জানা যায়, একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাটকটি নির্মান করা হয়েছে।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন রেদওয়ান রনি। নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৈয়দ ইমাম হাসান, রুমানা রশিদ ইশিতা, মৌসুমি হামিদ, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলি, লামিয়া রহমান সহ আরও অনেকে। নাটকটি চ্যানেল আই-এ প্রচারিত হয়েছে ঈদের চতুর্থ দিন ।
‘লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো?’
‘লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো?’ লায়লী-মজনুর সেই প্রাচীন মিথকে বর্তমান চোখে দেখার গল্প উঠে এসেছে নাটকটিতে। ভালোবাসার গভীরতম প্রকাশের পাশাপাশি আত্মহত্যা নিয়ে সচেতনতামূলক ম্যাসেজও তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি নির্মাণ করেছেন আশফাক নিপুন। লায়লারা কী মিস করে মিনহাজদের? করে হয়তো!
নিজেকে শেষ করে লায়লাদের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই দেয়া যায় না। লায়লাদের যদি মিনহাজরা এতোই ভালোবাসে, তাহলে কেন এতো বড় কষ্ট দিবে! নাটকটিতে আফরান নিশো- মেহজাবিন জুটির অভিনয় প্রেমে পড়া মানুষগুলোকে কাঁদিয়েছে।
নাটকে পাহাড়ের উপরের কিছু দৃশ্য দেখে ক্ষণিকের জন্য ভিনদেশী কোন সিনেমা বলেও মনে হতে পারে।
“ট্যাটু-৩”
আধুনিক সমাজের স্বকীয়তা যতোই আধুনিকমনা স্ট্যাটাস রক্ষা করে চলুক না কেন, সম্পর্কের মধুরতার টানে ঠিকই ভালোবাসার আবেশে জড়িয়ে পড়ে। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ট্যাটু-৩’ নাটকটিতে গত দুই পর্বের মতো এবারের গল্পেও অনেকটা বৈচিত্রতা ফুটে উঠেছে।
এবারের গল্পে কেবল নায়ক নয়, নায়িকার শরীরেও ট্যাটুর প্রতি উন্মাদনা দেখা গেছে। ট্যাটু বলতে বাহ্যিক সৌন্দর্য বোঝানোর প্রচেষ্টা নয়, বরং রূপক আঙ্গিকে তা আধুনিক সমাজের রূপরেখা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
নাটকে দেখা যায়, একটি ডিজে পার্টিতে নায়ক-নায়িকার দেখা হয়। পার্টিতে অধিক নেশা গ্রহণের ফলে নায়িকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং সেদিন রাতে নায়কের বাসায় আশ্রিত হয়।
যদিও ভাবখানা আধুনিকতার জানান দেয়, কিন্তু পরক্ষণেই তাঁদের কোমল মনের স্বাভাবিকত্ব প্রকাশ পায়। ঘটনাচক্রে তাঁদের মধ্যকার বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। পাশাপাশি উন্মোচিত হতে থাকে তাদের ফেলে আসা অতীতের রিক্ততাময় বিচ্ছেদের কথাগুলো।
শেষ সিকুয়েন্সের নাটকীয়তা দর্শকের মনে রেশ রাখার সফল প্রচেষ্টার জানান দিয়েছে। গল্পের প্রতি স্তরে স্তরে কমিক আঙ্গিকে পরিবেশনের আড়ালে ছলনার সাথে অবিশ্বাস জন্মানোর ফলশ্রুতিতে প্রতিবাদী কিংবা সম্পর্ক ছেদনের সাহসী পদক্ষেপের প্রকাশ পেয়েছে নিদারুণ ভঙ্গিকে। কখনো প্রেমিক-প্রেমিকা তাঁদের সম্পর্কে ধোঁকা খেলেও স্বকীয়তা বজায় রাখায় ঠিকই প্রতিবাদী মানসিকতার জানান দিয়েছেন।
ট্যাটু ৩ সম্পূর্ণ সিনেমাটিক ওয়েবে নির্মিত কাজল আরেফিন অমি’র একটি স্মার্ট কাজ। এই ধরণের কাজ নাটকে খুব কম দেখা যায়। তিনি তার নির্দেশনার স্বীয় ভঙ্গিতে দর্শকদের ছোট পর্দায়ও সিনেমার স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আফরান নিশো গা-ভর্তি ট্যাটু নিয়ে স্বকীয়তার সাথে অভিনয়ের ব্যপ্তিটা সত্যি চমকপ্রদ। এতেকরে কাজের প্রতি তাঁর প্যাশনের পরিচয় পাওয়া যায়।
অন্যদিকে মেহজাবিনকেও ট্যাটুতে ছেয়ে যাওয়া আধুনিক স্বভাবের মেয়ে হিসেবে দারুণ অভিনয় করেছেন। চিরাচরিত ধারার বাইরে এসে বাচন ভঙ্গি, এমনকি বডি লেঙ্গুয়েজেও ভিন্ন একটি টোন পরিবেশনের সফল প্রচেষ্টা করেছেন মেহজাবিন।
নিশো-মেহজাবিন জুটির পর্দায় রসায়নের স্বাদ বরাবরের মতোই উপভোগ্য। সেই রসায়নটা অবশ্যই ট্যাটু ৩ কে বাকি ২ পর্ব থেকে আলাদা করে রাখবে।
এমন স্টাইলিশ, গ্ল্যামার্স, সিনেমাটিক ভাইভ কাজ সত্যি দর্শকের ভিন্ন স্বাদ দিতে সক্ষম। ট্যাটু ৩ সম্পূর্ণ সিনেমাটিক ওয়েবে নির্মিত একটি চমৎকার নাটক। যারা নাটক দেখার ফ্লেভারে ভিন্নতা চান, তাদের জন্য অবশ্যই দেখার মত একটি দারুণ নাটক।
“আমার নাম মানুষ”
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার দৈন্যতা থেকে মুক্তি মিলবে কবে? শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমার নাম মানুষ’ টেলিফিল্মে সেই মুক্তির কয়েকটা পথ বাতলে দিয়েছে। সমাজ ব্যবস্থার অনিয়ম, অন্যায় আর কতদিন’ইবা সহ্য করা যায়! একদিন ঠিকই সোচ্চার হবে সাধারণ, আন্দোলন হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
এমনই ধারণাকে উপজীব্য করে নির্মাণ করা হয়েছে টেলিফিল্ম; ‘আমার নাম মানুষ’। নাটকের মূল চরিত্রে থাকা শাফায়াত মনসুর রানা, জন কবির, অপর্ণা, ইরফান সাজ্জাদসহ আরো অনেকে প্রত্যেকে স্ব-স্ব চরিত্রে দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
“বিনি সুতোর টান”
শিহাব শাহীনের নাটকের গল্প মানেই ভালোবাসার গল্প। ঠিক এভাবেই এবারের ঈদেও ‘বিনি সুতোর টান’ শিরোনামের ভালোবাসার নাটক নিয়ে দর্শকদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার নিয়মিত এক গল্পকে সৃজনশীলরূপে তুলে ধরেছেন পরিচালক। এই নাটকে অপূর্বের হাত ধরে নাটকে পা রাখলেন অপূর্বের ছেলে আয়াশ।
‘বিনি সুতোর টান’ নাটকে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আয়াশ জাকিয়া বারী মম সহ আরও অনেকে। ‘গানচিল ড্রামা ও সিনেমা’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ঈদের দ্বিতীয় দিন নাটকটি প্রকাশ করা হয়।
“লালাই”
কোরবানীকে কেন্দ্র করে সবাই মেতে উঠে ঈদের পূর্ব মুহূর্তে গরু কেনার নানান পরিকল্পনায়। গরু বিক্রেতা সেই কৃষক যদিও তার আর্থিক অনটন কিংবা সামান্য লাভের কথা ভেবে তার স্নেহের গরুটিকে বিক্রি করতে প্রস্তুত হয়, কিন্তু সে কি আদৌ মন থেকে সুখী হতে পারে!
তাদের হাহাকারের শব্দ প্রায়শই ভেসে উঠে সরল আর্তনাদের মধ্য দিয়ে। তখন অবুঝ নিরীহ পশুটিও মালিকের বেদনায় অশ্রুজলে ভেসে উঠে। চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু সমগ্র মুখমন্ডল ব্যাপী। এই দৃশ্যের দর্শক হিসেবে অনেকেই পরিচিত হলেও সামান্য পশুর সাথে মানুষের একাত্বতার বিষয়টা কেবলমাত্র পালক ব্যতীত অন্যকেউ বুঝতে পারে না। এতোটাই যখন টান, তাহলে তার আদরের পশুকে কেন’ইবা বিক্রি করতে এতটা উদগ্রীব হতে হয়!
নাটকে কালু চরিত্রে আফরান নিশো এভাবেই মিশে গেছেন কৃষক সম্প্রদায়ের সাথে। একজন কৃষকের করুণ আর্তি ফুটে উঠেছে তাঁর অভিনয় নৈপুণ্যে।
তানজিন তিশাও যথেষ্ট ভালো অভিনয় করেছেন। নিশো-তানজিন তিশার মধ্যকার মধুর-রিক্ততার রসায়ন দারুণভাবে ফুটে উঠেছে নাটকের পরতে পরতে। আনিসুর বুলবুলের গল্প নিয়ে মাবরুর রশীদ বান্নাহ্ পরিচালিত নাটক ‘লালাই’ এবারের ঈদের অন্যতম সেরা নাটক।
“শোক হোক শক্তি”
বেশ মধুর কাটছিল নাদিয়া ও নিশোর ভালোবাসার জীবন। হঠাৎ একদিন নাদিয়া তার পুরনো ভালোবাসার কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য নিশোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। যার ফল স্বরূপ নিশোকে গ্রাস করে একাকিত্ব। সিগারেটের নেশায় আসক্ত হয়ে বাড়ি ছাড়েন তিনি। এরপর একের পর এক বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হতে একসময় সে বুঝতে পারে পরিবারের গুরুত্ব, খুঁজে পায় জীবনের মানে। এরকম গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘শোক হোক শক্তি’।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, সালহা খানাম নাদিয়া, মনোজ কুমার, মনিরা মিঠু, দীপক কর্মকার সহ আরও অনেকে। ঈদের দ্বিতীয় দিন নাটকটি সিডি চয়েস ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
“সোনালী ডানার চিল”
গল্পটি বেড়ে উঠে একজন নীতিবান শিক্ষকের ছোট পরিবারকে ঘিরে। যার স্বপ্ন তার মেয়ে রুমকিকে একদিন ডাক্তার হিসেবে দেখতে চান। রুমকিও তার বাবার স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন হিসেবে মনে লালন করে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছে।
কিন্তু রুমকি মায়ের কথা; অনৈতিক উপায়ে প্রশ্ন কিনে হলেও তার মেয়ের স্বপ্নকে পূরণ করতেই হবে। এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বাবা-মেয়ে উভয়ই।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে রুমকি মেডিকেলে চান্স পায় না। অথচ তারই বান্ধবী যোগ্যতায় অনেক পিছিয়ে থেকেও ছলচাতুরীর দরুণ চান্স পেয়ে যায়। নীতির পথে চলা রুমকির বাবা তাঁর মেয়ের হতাশা দেখে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েন। এরপর শুরু হয় ন্যায়-অন্যায়ের টানাপোড়নে অনিশ্চয়তাকে নিশ্চিত করার হতাশগ্রস্ত নেশা।
আশফাক নিপুণের পরিচালনায় গল্পটিতে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার একটি অন্ধকার চিত্র উঠে এসেছে। কারো অনিয়মের সুখের জন্য এভাবেই প্রতিনিয়ত বলি হতে হয় শত শত উজ্জীবিত তরুণ/তরুণীদের।
নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। এছাড়াও অভিনয় করেছেন মেহজাবিন, সাবেরী আলম সহ আরও অনেকে। বিশেষত মেহজাবিনের অভিনয়ের গ্রাফটা সত্যি দিনকে দিন আরো বিকশিত হচ্ছে, এই ধরনের কিছু দূর্দান্ত স্ক্রিপ্টের নাটকে। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরাও তাঁদের সাবলীলত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন নাটকের পুরোটা জুড়ে।