রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনে দেশটি চাপে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইলো দেশটির ক্ষমতাধর বাহিনীটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপত্র ‘দ্য মিয়াওয়াদি ডেইলি’ গতকাল সোমবার “মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান” শিরোনামের বইটিতে প্রকাশিত দুইটি ছবির জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান লাশের ঐতিহাসিক ছবি আর রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, ‘ছবি দুটি ভুল ছাপা হয়েছে। ওই ভুলের জন্য আমরা পাঠক ও ছবির স্বত্বাধিকারীদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’
গত ২৭ আগস্ট জাতিসংঘের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে মিয়ানমারের জেনারেলদের গণহত্যা হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মাথায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রকাশিত বইতে ইতিহাসের নির্লজ্জ মিথ্যাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইতে “মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান” শিরোনামে ১১৭-পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগ। ওই বইতে বাংলাদেশ ও তানজানিয়ার ছবি দুটিকে রোহিঙ্গাদের ছবি হিসেবে উপস্থাপন করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যেমন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান লাশের ঐতিহাসিক ছবিটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বইতে ১৯৪০-এর দশকে বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞের ছবি বলা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবিকে উপস্থাপন করে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ উপনিবেশের পর বাঙালিরা (রোহিঙ্গা বোঝাতে) মিয়ানমারের নিম্নাংশে (রাখাইনে) প্রবেশ করে।