নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন আজ। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের একজন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পর পরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচীনি দ্বীপ, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প প্রভৃতি।
তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমনি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবন মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও নয় নম্বর বিপদ সংকেত। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ও জয় করেছে দর্শক ও সমালোচকদের মন।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদিও স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
১৯ জুলাই ২০১২ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসারত থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হুমায়ূন আহমেদের লেখন শৈলী আয়নার মত। মধ্যবিত্ত পাঠক এখানে যেন নিজেকেই দেখতে পান। তাই সময় এগিয়ে যায়, মানুষের জীবন ভাবনায় আসে কতশত পরিবর্তন। তবুও হুমায়ূন সাহিত্যের মুগ্ধতা যেন পাঠকের অন্তরে চীরগাঁথা হয়ে থাকে।