গুলশান পুলিশ প্লাজার পেছন থেকে গুলশান-বাড্ডা লিঙ্করোড পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গুলশান-বাড্ডা লিঙ্করোডে পাকা বাঁধ না দিয়ে ও গুলশান-বাড্ডা লেকের ১৩৬-১৪৩ নং ওয়াকওয়ে সংস্কার বা মেরামত না করে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিআইডব্লিউটি’র চেয়ারম্যান, ডিএমপি কমিশনার ও ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
গুলশান লেক ও এর আশপাশে থাকা ভবন রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লেকের পাড়ে পাকা বাঁধ না থাকায় এবং অবাধে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করায় লেকের পাড় ধসে যাচ্ছে। পাশাপাশি লেকের ওয়াকওয়ে সংলগ্ন যেসব আবাসিক বা অনাবাসিক ভবন আছে সেগুলোও পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ বিষয়ে এখনই যথাযথ উদ্যোগ না নিলে লেক এবং লেকের পাড় ধ্বংসের মুখে পড়বে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।