আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার থার্টিফার্স্ট রাতে কোনো অনুষ্ঠান না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত সার্বিক নিরাপত্তা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
থার্টিফার্স্টের আগের দিনই একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। পরের দিনই ইংরেজি বর্ষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো আয়োজন না রাখার তাগিদ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাসার ছাদে বা খোলা জায়গায় থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না, বৈধ অস্ত্রও বহন করা যাবে না। ডিজে পার্টি করা যাবে না।
থার্টিফার্স্ট নাইটে কোথাও কোনো আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি ঢুকবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পর্যটন এলাকাগুলোতেও ব্যাপক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। আন্তর্জাতিক ও পাঁচ তারকা হোটেলের বাইরে কোনো বার খোলা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো চার্চ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে ৭৫টি। এরমধ্যে বড় চারটি তেজগাঁও, রমনা, মিরপুর ও বনানীতে। প্রতিটি চার্চের দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হবে। প্রতি চার্চে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশেই সব চার্চ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পুরোপুরি এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। ইলেকশন কমিশন যেভাবে মনে করে সেই ব্যবস্থা করবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সহযোগিতা করার জন্য তৈরি আছে।