আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাবলিগ জামায়াতের বিবদমান দুই পক্ষ ছাড়াও পুলিশের আইজি, ধর্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হওয়ার কথা ছিল। বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম স্থগিত করা হলো।
গত বছর থেকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার নির্বাচন ও তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে বসা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। একইসাথে তাবলিগের জামাতের মধ্যে বিরোধও রয়েছে। এসব বিবেচনায় তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে তাবলিগের দুই পক্ষের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা কোনো জোড় (জমায়েত), ওজহাতি জোড় (স্পষ্টকরণ জমায়েত) কিছুই করতে পারবেন না। এ ছাড়া, একটি প্রতিনিধি দল ভারত যাবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলাপ আলোচনা করে সমাধান করবেন।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষই জানুয়ারিতে পৃথক পৃথক তারিখে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার ঘোষণা দিয়েছিল। ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীরা গত বিশ্ব ইজতেমার পর ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্য দিকে মাওলানা সাদবিরোধীরা ও কওমি আলেমদের নিয়ে সম্প্রতি ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেছিল। একইসাথে দুই পক্ষই পৃথক তারিখে জেলা ভিত্তিক জমায়েতের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। আর এই জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।