‘বর্তমান সরকার হতে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’

ফিচার

প্রতিবার নির্বাচন আসলে এমপিদের শুরু হয়ে যায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া আর সেই সাথে প্রতিশ্রুতিরও কমতি পরে না। আবার এমনও এমপি আছেন যারা নিজ ওলাকায় কি উন্নয়ন করেছেন তা বোধ হয় নিজেই জানেন না। যাই হোক আসল কথায় আসি। আমরা যারা যুব সমাজ, আমরা আমাদের দেশকে অনেক বড় উচ্চতায় দেখতে চাই, সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। প্রাপ্তির মধ্যে ঐ একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক কে’ই পাওয়া, যা এই বাংলার মাটিতে আর পাওয়া দুঃসাধ্য।

এই দেশে পদ্মাসেতু হবে কিংবা মেট্রোরেল হবে সেটা জনগন হয়তো কখনো কল্পনাও করেনি। অথচ আজ সেই পদ্মাসেতু দৃশ্যমান, যশোরে নির্মিত হয়েছে সুন্দর একটি রেলওয়ে স্টেশন, চট্রগ্রামে জাম্বুরি পার্ক, ঢাকায় হাতিরঝিল, তাছাড়া এশিয়ার সবচেয়ে বড় বার্ণ হাসপাতাল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এর সবই সম্ভব হয়েছে একমাত্র আমাদের মাদার অব হিউম্যানিটির জন্য। এসব বাদ দিলেও আরেকটি বিশাল কাজ করে দেখিয়েছেন আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী। আর তা হল রোহিঙ্গাদের দিয়েছেন আশ্রয়, যখন অন্যসব দেশ তাদের আশ্রয় দিতে অসম্মতি জানায়, ঠিক তখনই আমাদের মমতাময়ী জননী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাবার দিই৷ সেই সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে’। তার এই অবদানের জন্য বহির্বিশ্বে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, উনাকে দেয়া হয়েছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি।

জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো এমন দূরদর্শী এবং সাহসী নেত্রী আমি আর দেখিনি। আমি মনে করি আমাদের যুব সমাজের জন্য তিনি একজন আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এক মহীয়সী নেত্রী। যার বুদ্ধিমত্তা, সাহসী পদক্ষেপ এবং অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পুরো বিশ্বে তিনি আলোচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন ছিলেন দেশপ্রেমিক, সাহসী এবং স্পষ্টবাদী বক্তা, ঠিক তেমনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার, সেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমাদের জননেত্রী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২৬তম অবস্থানে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রভাবশালী ব্যবসায়িক সাময়িকী ফোর্বস এই তালিকাটি প্রকাশ করেছেন। গত বছর ফোর্বস-এর প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় ৩০তম অবস্থানে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতো কিছু করার পরও যখন কিছু সংখ্যক লোকজন বলে এই সরকার কিছুই করেনি বা দেশের বাজে অবস্থা তৈরি করেছে। তখন আমি তাদের উদ্দ্যেশে শুধু একটি কথাই বলতে চাই, যারা সর্বদা নিজের কথা ভাবে এবং অসদোপায়ে অর্থ উপার্জন করে, তারাই একমাত্র এই কথা বলতে পারে বলে আমার ধারনা। কেননা যে বাংলাদেশ একসময় দূর্নীতিতে শীর্ষে ছিল, সেই বাংলাদেশকে দূর্নীতি থেকে টেনে বের করে নিয়ে এসেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের এই সরকারের অর্জনের তালিকা কিন্তু অনেক বড়।

তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অর্জন তুলে ধরছি-

  • নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ
  • মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন
  • সমুদ্র সীমানা বিজয়
  • ছিট মহল সমস্যার সমাধান
  • মেট্রোরেল প্রকল্প
  • যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার
  • বিনামুল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরন
  • জাহাজ শিল্পকে বিশ্বমানে পোঁছে দেয়া
  • মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান
  • প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান
  • মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান
  • প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র স্থাপন
  • নারীর ক্ষমতায়ন
  • প্রতিটি জেলা উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ
  • মাতৃত্ব কালীল ছুটি বৃদ্ধি
  • রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ (বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩২৬৮ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে ১৯,২০২ মেগাওয়াট)
  • শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি
  • বয়স্ক ভাতা প্রদান

এতো কিছুর পরও যদি মনে হয় কিছুই হয়নি তাহলে আর বলার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। তবে আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সম্বৃদ্ধির পথে ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়, তা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। যুবসমাজ এবং যারা নতুন ভোটার, তাদের কাছে অনুরোধ রইলো আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এগিয়ে আসুন।

 

শান্তনু বিশ্বাস

সাবেক সহ – সম্পাদক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর উত্তর)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *