ইরানের ঐতিহ্যবাহী ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৩৭ তম আসরে “শাবি কে মহ কমেল শোদ” সিনেমাটি সাতটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। ছবিটি সেরা ছবি, শ্রেষ্ঠ পরিচালক – নার্গিস অবইয়ার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- এলনাজ শাকের দুস্ত, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- হুতান শাকিবা, শ্রেষ্ঠ পরিপূর্ণ নারী শিল্পী- সাদরে উরাফায়ি, শ্রেষ্ঠ আকর্ষণীয় চেহারা- ইমান উমিদ ভারি এবং শ্রেষ্ঠ পোশাক শিল্পীর পুরস্কার জিতেছে। সিনেমার প্রযোজক মোহাম্মদ হোসাইন কাশেমি সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন।
সেরা পরিচালক পুরস্কার গ্রহণকালে নার্গিস অবইয়ার বলেন, আমি সর্বদা দুঃখ পেয়েছি যে ইতিপূর্বে আমার দেশে আমি কখনো পুরষ্কারের জন্য মনোনীত ছিলাম না। কিন্তু এই পুরস্কারটি আমার কাছে সত্যিই মূল্যবান এবং আমি এটা নিয়ে গর্বিত।
শাবি কে মহ কমেল শোদ, বাংলায় যার অর্থ ‘যে রাতে চাঁদ পূর্ণতা পেয়েছিল’। সিনেমাটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের শিক্ষক ড: মুমিত আল রশিদ। ‘রেইডাস ইন্টাঃ লিমিটেড’ এর সার্বিক সহয়োগীতা ও তত্বাবধানে গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে “শাবি কে মহ কমেল শোদ” ছবির শুটিং হয়। ছবিটিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পরিচালক আবদুর রহিম। ছবিটির ২০ ভাগ দৃশ্যধারন করা হয়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। রোদ, বৃষ্টি, রাস্তার জ্যাম সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, বসিলা, ধানমন্ডি, রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ, হাতিরঝিল সহ ছবির গল্পের সাথে সম্পৃক্ত থাকা নির্বাচিত স্থানগুলোতে একের পর এক ছুটেছিল ক্যমেরা।
৯০তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড-এর চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় ছিলো ইরানের ছবি ‘ব্রীদ’! ৩৭তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও দাপট দেখালেন ‘ব্রীদ’ নির্মাতা নার্গিস আবেয়ার!
প্রসঙ্গত, ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৩৭তম আসর শুরু হয় গত ৩০ ডিসেম্বর। যার পর্দা নামলো ১১ ফেব্রুয়ারি।