সুপ্রিয় চাকমা(৪৫) দূর্গম পাহাড়ী এলাকার একজন স্বশিক্ষিত কারুশিল্পী। একটি গাছের গুঁরিকে মনের মাধুরী মিশিয়ে তার অপ্রতুল সরঞ্জাম দিয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে পছন্দসই আকৃতি দিয়ে কারুকার্যমন্ডিত করে তোলেন। নিপূণ হাতে ময়ূর, হাতি, বানর, বক বা বিখ্যাত মানুষের মূর্তি বানান নিজের ইচ্ছায়, নিজেরই গরজে। কোন শিক্ষাগুরু নেই অথচ তার দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করার জন্য যথেষ্ট ।
মহালছড়ি উপজেলার মধ্য আদাম নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার জন্ম এবং বসবাস। দয়াময় চাকমার ছেলে সুপ্রিয় চাকমা তেমন লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। তাই কৃষিকাজই সংসার চালানোর একমাত্র উপায়। ছোটবেলা থেকে জীবনের তাগিদে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে হয়েছে তাকে ।
তিনি জানান, গাছে খোদাই করে মহেশখালিতে হাঁসের মূর্তি, রাউজানে হাতির মূর্তি, আর রাঙামাটির কাটাছড়িতে বহুজন শ্রদ্ধেয় বনভান্তের মূর্তি বানানোর কথা। বলেন, এ কাজে তিনি অনেক আনন্দ আর পরিতৃপ্তি অনুভব করেন। অপ্রতুল সরঞ্জাম সত্তেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেন কিছু কাজ চলমান রয়েছে। সংসারের কাজের পাশাপাশি এ কাজটাকেও সমানভাবে চালিয়ে নিতে চান তিনি। রত্ন উজ্জল
-রত্ন উজ্জল
মনাটেক, খাগড়াছড়ি