প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে আছে উচু উচু পাহাড় আর স্নিগ্ধ সজীব প্রাণবন্ত সবুজের বৈচিত্র।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরেই মহালছড়ি। পাহাড়ি অঞ্চল মানেই অদ্ভূত এক মায়া জড়ানো ভালোলাগার অনুভূতি। মহালছড়ি উপজেলার প্রধান নদী চেঙ্গী। এটি কর্ণফুলীর একটি শাঁখা। খাগড়াছড়ির দুদুকছড়া থেকে খাগড়াছড়ি সদর ,মাটিরাঙা, মহালছড়ি হয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে গিয়ে চেঙ্গী নদীর সমাপ্তি।
টলমলে স্বচ্ছ পানি, নির্মল বাতাস, দৃষ্টি নন্দিত নদীর এধার ওধার, আর উপরে খোলা আকাশের বিশালতা যেন টেনে নিয়ে যায় অনুভূতির এক স্বর্গ সাগরে।
মহালছড়ির উত্তরে-খাগড়াছড়ি, দক্ষিণে-লক্ষীছড়ি, পশ্চিমে-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাংগা এবং রামগড় উপজেলা এবং পূর্বে-রাংগামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু এবং নানিয়ারচর উপজেলা। কাপ্তাই হ্রদ বেষ্টিত ছোট বড় পাহাড় ঘেরা সবুজ বনানীর আচ্ছাদনে আবৃত এ নানিয়ারচর।
নানিয়ারচর উপজেলায় বুড়িঘাটে অবস্থিত- বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুল রউফের সমধি সৌধ। চারদিকে কাপ্তাই লেকের নীলজল খেলা করে আর তার মাঝখানে একটি ছোট্ট দ্বীপে ঘুমিয়ে আছেন আমাদের চিরস্মরণীয় অকোতোভয় অসামান্য বীর। দেশপ্রেমিক আর ইতিহাস সচেতন পর্যটকরা ছুটে আসেন স্বাধীনতার অগ্রণী সেনানী এই বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।