শরীরের বয়সটা আসলে স্রেফ কয়েকটা সংখ্যা। মনের বয়সটাই আসল! তাই মনের দিক থেকে তরুণ থাকার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে চেষ্টা করুন অল্পবয়সিদের সঙ্গে মেলামেশা করার। সময় পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন।
সুগার-ফ্রি খাবার খানঃ
চিনি শরীরে প্রবেশের পর ত্বকের স্বাভাবিক দু’টো প্রোটিনের (কোলাজেন এবং ইলাস্টিন) কার্যপ্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। এই দু’টি প্রোটিন স্বাভাবিক বয়স প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে তাড়াতাড়ি। চেষ্টা করুন চিনি ছাড়া খাওয়ার অভ্যাসটা রপ্ত করে নেওয়ার। তাতেই দেখবেন আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ কম পড়বে।
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজনঃ
চেষ্টা করুন রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে। এবং সকালে সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা টানা ঘুম খুব প্রয়োজন। শরীর সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই।
শরীরচর্চা করুনঃ
শরীরচর্চা করার অর্থ কিন্তু বডিবিল্ডিং নয়। ব্যায়াম কিংবা ইয়ূগা যা-ই করবেন, নিজের বয়সের দিকে খেয়াল রেখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা শরীরচর্চা করলে শরীর-মন দুটোই ভাল থাকে। যার প্রভাব পড়ে চেহারায়।
ফাস্টফুড খাওয়া বাদ দিনঃ
ফাস্টফুড মানে হাই সুগার আর ফেট, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যে কোনও রকমের ফাস্টফুডকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। টাটকা শাক-সবজি খান। সেদ্ধ করা খাবার বেশি পরিমাণে খান।
ধুমপান ত্যাগ করুনঃ
আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটাও পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, সিগারেটের তামাকের মধ্যে থাকা নিকোটিন ফুসফুসসহ শরীরের অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি করে। এমনকী, দীর্ঘদিন যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ফুসফুসের ভিতরের অংশে কার্বনের পুরু আস্তরণও পড়ে যায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা কমে যায়।
এভাবে জীবনযাপন করলে শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স বাড়বে না। সেইসাথে হাসিখুশি সুস্থ সুন্দর জীবনের স্বাদ নিতে পারবেন।