সৌন্দর্যচর্চায় দীর্ঘদিন ধরেই গোলাপজলের ব্যবহার হয়ে আসছে। গোলাপের আরও নানা গুণ আছে। প্রসাধনী তৈরিতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। ক্লান্তিনাশ ও মেজাজ ভালো করার জন্য গোলাপ চা দারুণ উপকারী। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমে সহায়ক।
গোলাপ চায়ের উপকারিতাঃ
ওজন কমানোঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গোলাপের চা দারুণ উপকারী। গোলাপ চা ক্যাফেইনমুক্ত। তাই কফি বা চায়ের বিকল্প হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্ষুধানিবারক হিসেবে কাজ করে বলে ওজন বাড়ে না।গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা গোলাপ চা খেলে ওজন কমাতে পারেন।
হজমশক্তি বর্ধনঃ শরীরে জন্য হজমশক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে গোলাপ। ওজন কমানোর জন্য পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কার্যকর রাখা জরুরি। গোলাপের চা পাচকতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে তাই গোলাপ চা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া সমস্যায় হারবাল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যথা ও বিষনাশক: গোলাপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।গোলাপ চাকে বলা হয় বিষনাশক। মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধ ছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে গোলাপ চা।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে আগে শরীরের সব রোগ দূর করা দরকার। গোলাপ চায়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শরীরের সংক্রমণ দূর করতে গোলাপের ভিটামিন সি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বাড়িতে খুব সহজেই গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে চা তৈরি করতে পারেন।
গোলাপ চা তৈরির প্রক্রিয়া: বেশ কয়েক উপায়ে গোলাপ চা তৈরি করা যায়। শুকনো পাপড়ির সঙ্গে চায়ের গুঁড়া যোগ করে চা বানানো যায়। এছাড়া সতেজ গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করেও চা তৈরি করা যায়।