আধুনিক জীবনযাত্রা ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস এই দুইয়ের মিশেলে শরীরে রোজই জমছে অতিরিক্ত মেদ। সময়ের অভাবে প্রতি দিন জিম বা শরীরচর্চার সময়ও পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমানোর মধ্যেই নাকি রয়েছে মেদ ঝরানোর হরেক উপায়!
ঘুমের হরেক নিয়ম ও তার আগে-পরের নানা অভ্যাসই কমিয়ে দেবে মেদ। এ সব স্বভাব জানা থাকলে ঘুমের মধ্যেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন কয়েক কেজি ওজন।
ঘুমানোর সময়েই শরীরের মেটাবলিজম রেট সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময়টা ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট উপায় বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকের মতেঃ-
- সঠিকভাবে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস শরীরের মেদ কমাতে খুব সাহায্য করে। নির্দিষ্ট একটা বায়োলজিক্যাল ক্লক মেনে চললে শরীরের মেটাবলিজম রেট নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই, অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুমানো প্রয়োজন।
- ঘুমানোর আগে হালকা কিছু খান। হতে পারে তা প্রোটিন শেক বা এমন কোনও পানীয়, যা শরীরকে পুষ্টি দেওয়ার সঙ্গে হালকা রাখে।
- ঘুমের সময় নাইট ল্যাম্প নিভিয়ে রাখুন। সম্পূর্ণ নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে ঘুমালে শরীরে ক্যালোরি বেশি বার্ন হয়।
- ঘুমের আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটবেন না। মোবাইল, টিভি ও ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে আসা নীল আলো শরীরে মোলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মেলাটোনিন ক্যালোরি বার্ন করার অন্যতম প্রধান উপাদান। এই মেলাটোনিনের পর্যাপ্ত জোগান না থাকলে মেদ কোন দিনই কমবে না।
- হালকা এসি চালিয়ে ঘুমান, বাড়িতে এসি না থাকলে ঘুমানোর আগে উষ্ণ জলে স্নান সেরে নিন। মাথা বাদ দিলেও শরীরটুকু ভেজান। পাখা চালিয়েই ঘুমান। ঘুমের মাঝে নিজেকে গরম রাখতে শরীর নিজেই বেশি ক্যালোরি খরচ করে। এতে মেদ কমে সহজে। তবে সর্দি-কাশির অসুখ থাকলে এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন।
- কখন ঘুমাতে যাবেন যেমন গুরুত্বের, তেমনই কিন্তু কখন রাতের খাবার সারছেন সে দিকে নজর রাখাও দরকারি। সহজেই মেদ ঝরাতে গেলে শোওয়ার অন্তত দু’ঘন্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন৷ পাশাপাশি রাতের খাবারটাও হালকা রাখুন৷
- চেষ্টা করুন নরম ও হালকা পোশাকে ঘুমাতে। আঁটসাঁট পোশাকে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত হয়। আবার ভারী ও ঢাকা পোশাক থাকার ফলে নিজেকে গরম রাখতে শরীরকে খুব একটা শ্রম করতে হয় না, ফলে ক্যালোরিও কম বার্ন হয়। তাই ঘুমের মধ্যও শরীরের ক্যালোরি কমাতে চাইলে হালকা পোশাকই বেছে নিন।