মশা সাধারণত মানুষের নড়াচড়া, শরীরের উত্তাপের সঙ্গে নিঃসৃত অবলোহিত তেজস্ক্রিয়তা এবং রাসায়নিক সংকেতের দ্বারা আকৃষ্ট হয়। এ ছাড়া আমাদের নিশ্বাসের সঙ্গে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং শরীরের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মশাকে আকৃষ্ট করে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি হলে মশাদের কামড় অবধারিত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই ছোটদের তুলনায় বড়দের মশা বেশি কামড়ায়।
সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির মশা আছে। অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে। প্রজাতিভেদে এরা কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসখানেক, এমনকি এরও বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে।
মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর প্রভৃতি রোগ হয়। প্রতিবছর মশার কারণে যে পরিমাণ লোকের প্রাণ যায় আর কোনো প্রাণীর কারণে এত লোক মারা যায় না।