রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

লাইফস্টাইল

ডাবের পানির উপকারিতা সকলেই জানে। আমাদের শরীরকে যেমন ডাবের পানি অনেক রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখে , তেমনই উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও ডাবের পানি উপকারী। কাঠফাটা রোদে হঠাৎ স্বস্তি দিতেও ডাবের পানির তুলনা নেই।

উচ্চ রক্তচাপ কমানো

ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি সাহায্য করে। এই পানি  নিয়মীত পান করলে আমাদের বাজে কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে হার্টের সমস্যা গুলো প্রতিরোধে সাহায্য করে।

হাইপোথাইরয়েডিজমযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য হাইপোথাইরয়েডিজম, যা অপ্রচলিত থাইরয়েড বা কম থাইরয়েড হিসাবে পরিচিত, যাদের আছে তাদের জন্য ডাবের পানি পান করা উপকারী। এই পানিতে একটি প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে যা একটি সক্রিয় থাইরয়েডকে উদ্দীপ্ত করতে সহায়তা করে। এটি যদি হাইপ্র্যাকটিভ হয় তবে এটি আপনার থাইরয়েডও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ডাবের পানি ব্যবহার করা ভাল কারণ এটি ওজন বাড়াতে এবং আপনার অন্ত্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। খাওয়ার পরে ২০ দিনের জন্য দুই বা তিন গ্লাস ডাবের পানি পান করার চেষ্টা করুন।

ত্বকের যত্নে

তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক, যেকোনও ত্বকের ক্ষেত্রেই ডাবের পানি ভীষণ উপকারি। যাদের ব্রণ হওয়ার খুব ধাত রয়েছে, তারা ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মাঝে মধ্যেই মুখ মুছতে পারেন। দেখবেন এতে ভাল ফল পাবেন।

মুখের দাগে

 মুখে যদি কোনো অ্যালার্জির দাগ বা ব্রণর দাগ থাকে, তাহলে ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। এক মাস এটা করলেই দেখবেন দাগগুলো আসতে আসতে কমে যাচ্ছে। মুখে দানা বা কালো দাগ থাকলে প্রত্যেকদিন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে এবং প্রচুর ডাবের পানি খেলে মুখের কালো দাগ সেরে যায় এবং দানা উঠাও বন্ধ হয়ে যায়।

চুল পড়ার সমস্যায়

অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। ডাবের পানি হালকা গরম করে তা দিয়ে মাথায় আলতো করে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন খুব কম সময়ের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া শ্যাম্পু করার পরে নারকেলের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুল যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি খুশকির সমস্যাও দূর হবে।

ঘামের দুর্গন্ধ

 ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও ডাবের পানি দারুণ কাজ করে। শরীরের যে অংশগুলোতে বেশি ঘাম হয় সেখানে ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিতে পারেন। কিংবা স্প্রেয়ার বোতলের মধ্যে ডাবের পানি ভরে স্প্রেও করতে পারেন। এতে ত্বকের ঐ জায়গার দুর্গন্ধ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চলে যায়।

ডায়াবেটিস নিরাময়ে

ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি অনেক বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে একটি কচি ডাবের মুখ ফুটো করে তাতে দুই চিমটি পরিমাণ কালোজিরা রাতে ঐ ডাবের পানিতে দিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে খালি পেটে পুরো ডাবের পানি কালোজিরাসহ খাবেন। এরূপ পদ্ধতিতে দেড়-দুই সপ্তাহ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তারপর মাঝে মাঝে খেলেই চলবে।

মাথা ব্যাথায়

এ রোগে ডাবের পানিতে ১০-১২টি দানা চিনি মিশিয়ে অল্প অল্প করে নাক দিয়ে টেনে অথবা ড্রপারে করে নাকে গলাধঃকরণ করতে হবে, ম্যাজিকের মাতা কাজ করবে।

মুত্রকৃচছতায় অজীর্ণ জনিত কারণে, অত্যধিক রৌদ্রে ঘোরায়, অত্যধিক পরিশ্রমে অথবা একনাগাড়ে এক আসনে চেপে বসে থাকায় যে প্রস্রাবের কৃচ্ছতা আসে, এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা ডাবের পানি খেলে সাময়িক ঐ অসুবিধা চলে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *