ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেক মানুষকে আনন্দিত করেছে: খামেনি
বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরাইলের ওপর নিক্ষিপ্ত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র “বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে।” শুক্রবার (২০ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আয়াতুল্লাহ খামেনির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এ বক্তব্য উঠে আসে। ভিডিওর শুরুতেই গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলের ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সাধারণ মানুষের উল্লাস এবং ওই হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে— ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে।’ ধারণা করা হচ্ছে, এই ভিডিওটি ইরানের প্রতি সহানুভূতিশীল জনগণের আবেগকে উসকে দিতে এবং ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবকে আরও জোরালো করতেই প্রকাশ করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে ভিডিওটি প্রকাশিত হলো, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) তিনি মন্তব্য করেন, “খামেনিকে আর বেঁচে থাকতে দেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইলের জন্য সরাসরি হুমকি।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিও জানায়, গুশ দান এলাকায় লক্ষ্য করে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, সেগুলো ছিল একাধিক ছোট সাব-ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত। হামলার পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো খণ্ডিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে, যার ফলে কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে, যেখানে শুধু ইরান ও ইসরাইলই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রসহ আরও অনেক রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়তে পারে।