আবার বাংলাদেশ ফুটবলের হাল ধরবেন ক্রুইফ?
বাংলাদেশ ফুটবলের পরিচিত এক মুখ লোডভিক ডি ক্রুইফ আবারও ফিরছেন দেশের ফুটবলে? এমন জোরালো গুঞ্জন উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অন্দরমহলে। দশ বছর আগে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই ডাচ কোচ এবার আসতে পারেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে।
২০২৫ সালের এই সময়ে এসে আবারও দেশের ফুটবল কাঠামোয় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনায় আলোচনায় এসেছে ৫৫ বছর বয়সি ক্রুইফের নাম। জানা গেছে, চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে বর্তমান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুর মেয়াদ। বাফুফে তার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে শূন্য হওয়া পদে ক্রুইফকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
শুধু ক্রুইফই নয়, আলোচনায় এসেছে আরও একটি পরিচিত নাম—রেনে কোস্টার। ২০১৫ সালে সিলেট ফুটবল একাডেমিতে কাজ করার জন্য যিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন, এবার তাকে বাফুফের এলিট একাডেমির দায়িত্ব দিতে পারে ফেডারেশন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ডি ক্রুইফ কৌশলে এড়িয়ে গেলেও আভাস দিয়েছেন আলোচনার কথা। তিনি বলেন, “আমি আলোচনা (বাফুফের সঙ্গে) সম্পর্কে অবগত, এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। শুভেচ্ছা।”
অন্যদিকে রেনে কোস্টার বলেন, “নিউজ যেহেতু হয়েছে সেক্ষেত্রে চুক্তি হতেও পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশে বয়সভিত্তিক দল নিয়ে আগে কাজ করে সাফল্যের কথা মনে আছে।”
তবে এখানেই রয়েছে এক বিতর্কিত অধ্যায়। ২০১৫ সালে তাকে নিয়োগ দেওয়া হলেও কার্যত কোনো কাজ দেওয়া হয়নি কোস্টারকে। বকেয়া অর্থও দেয়া হয়নি। এই ঘটনায় প্রতারিত হয়ে তিনি ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং ফেডারেশনকে গুণতে হয়েছিল বড় অঙ্কের জরিমানা। তৎকালীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সময়ে এই ঘটনা ঘটে।
তবুও, কোস্টারের অধীনে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দল কিছুটা সাফল্য পেয়েছিল, যা হয়তো তাকে আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে এনেছে। এখন দেখার বিষয়—বাফুফে সত্যিই নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে ক্রুইফকে দায়িত্ব দেয় কি না এবং কোস্টারের সঙ্গে অতীতের বিরোধ ভুলে ফের একসঙ্গে কাজের সুযোগ করে দেয় কি না।
বাংলাদেশ ফুটবলে ফের ডাচ ছোঁয়া আসবে কিনা, সেই উত্তর সময়ই দেবে।