ট্রাম্পের হুমকির পর যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন খামেনি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির জবাবে সরাসরি ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স -এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।”
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্প যখন একাধিকবার ইরানের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করছেন, তখনই এই বার্তাটি দিয়েছেন খামেনি। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সরাসরি হুমকির পর এই প্রথমবার প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুললেন খামেনি।
বার্তায় ব্যবহৃত ‘হায়দার’ নামটি ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও শিয়া মুসলিমদের প্রথম ইমাম ইমাম আলী (রা.)-এর পরিচিত নাম। এই নাম উল্লেখ করে খামেনির বার্তাটি শিয়া মুসলিমদের আবেগকেও স্পর্শ করেছে।
খামেনি তার বার্তায় আরও বলেন, “আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনও দয়া দেখাব না।”
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিক পোস্টে খামেনিকে সরাসরি হুমকি দেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন,
“আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু সেখানে নিরাপদ – আমরা তাকে বের করে আনবো না, অন্তত এখনই নয়।”
আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের আকাশসীমা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে,” এবং এরপরই তৃতীয় একটি পোস্টে লিখেন, “আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পাল্টাপাল্টি বার্তার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা এখন সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা এবং দুই দেশের শীর্ষ নেতার প্রকাশ্য সংঘাত বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এখন দৃষ্টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে—এই উত্তেজনা প্রশমনে তারা কী ভূমিকা রাখে সেটিই দেখার বিষয় ।