সোনারগাঁ জাদুঘর ও গোপীনাথ সাহা সরদার বাড়ি

প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো সোনারগাঁয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক গোপীনাথ সাহা সরদার বাড়ি যা ঈসা খাঁর জমিদার বাড়ি বা ঐতিহাসিক বড় সরদার বাড়ি বর্তমানে সোনারগাঁ জাদুঘর নামেই পরিচিত। বাড়িটির পশ্চিম পাশে শানবাঁধানো ঘাট আর সজ্জিত পাড়বেষ্টিত পুকুরের সৌন্দর্য নিমিষেই যে কারো মন কাড়ে। বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশে  গ্রামীণ জীবনধারা ও প্রাচীন ঐতিহ্যের নিপুণ রূপকেন্দ্রিক প্রায় ষোল হেক্টর স্থান জুড়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অবস্থান। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্পের সংরক্ষণ, বিকাশ  ও সর্বসাধারণের মধ্যে লোকশিল্পের গৌরবময় দিক তুলে ধরার জন্য

বিস্তারিত »

কল্লোল যুগ

কল্লোল যুগ বলতে বাংলা সাহিত্যের একটি  ক্রান্তিলগ্নকে বোঝায়, যখন বাংলা কবিতা ও  কথাসাহিত্যে আধুনিকতার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল। কল্লোল যুগের একটি প্রধান বৈশিষ্ট ছিল রবীন্দ্র বিরোধিতা। যে সময়ে কল্লোলের আবির্ভাব, তখন বাংলা সাহিত্যের সর্বকোণ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাবে প্রোজ্জ্বল। কল্লোল যুগের লেখকদের মূল লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্র বৃত্তের বাইরে এসে সাহিত্যের একটি মৃত্তিকাসংলগ্ন জগৎ সৃষ্টি করা। ‘কল্লোল’ নামে একটি সাময়িক পত্রের মাধ্যমে একদল তরুণ কবি-সাহিত্যিকের হাতে পাশ্চাত্য আধুনিকতার পত্তন হয়। অচিরেই অন্যান্য সাময়িক ও সাহিত্য পত্রেও এই আধুনিকতার পরশ লাগে। কল্লোল এর অর্থ মহাতরঙ্গ বা কলরব। প্রথম

বিস্তারিত »

বাংলা পঞ্জিকার আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত রূপ দেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

বিভিন্ন ভাষায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র দখল ছিল অসাধারণ ও অসামান্য। উর্দু ভাষার অভিধান প্রকল্পে তিনি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৬১ – ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গঠিত বাংলা একাডেমির পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। বাংলা সন যেহেতু হিজরি সালের পিছন পিছন এগিয়ে যায়, তাই চন্দ্র ও সৌর বছরের মাঝে সময়ের একটা পার্থক্য থেকেই যায়। এই সমস্যা

বিস্তারিত »

ঘুরে আসুন অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা নিকেতন দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। সিলেটের প্রতি ভ্রমণপ্রেমীদের রয়েছে এক চিরন্তন আকর্ষণ। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সিলেটের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য অনন্তকাল ধরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এখানে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ, তেমনি আছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সংমিশ্রণ। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু সারি ধলাই, খোয়াই নদীর কোলঘেঁষে অসংখ্য ছোট-বড় টিলা, পাহাড়, চা বাগান, হাওর, বিল, দিগন্তছোঁয়া মাঠ, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট যে কোনো দর্শনার্থীর মন জয় করে নেয় সহজে। বিধাতা অকৃপণভাবে সাজিয়েছেন

বিস্তারিত »

‘নকশী কাঁথা’ কারুশিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি

নকশী কাঁথা শব্দটির সাথে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য উতপ্রেতভাবে জড়িত। আবহমানকাল ধরে এ দেশের মানুষ নকশী কাঁথা ব্যবহার করে আসছে।কাঁথার আভিধানিক অর্থ হলো – জীর্ণ বস্ত্রে তৈরি শোয়ার সময় গায়ে দেয়ার মোটা শীত বস্ত্র বিশেষ। আর নকশী কাঁথা হলো-গ্রাম বাংলার বধূ-কন্যারা মনের মাধুরী মেশানো রং দিয়ে সূঁচ আর সুতোর সাহায্যে সুনিপুণ হাতে নান্দনিক রূপ-রস ও বর্ণ-বৈচিত্র্যে ভরা তুলনামূলক পাতলা কাঁথা। এটি গ্রামীণ মহিলাদের শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত হলেও নকশী কাঁথা শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের আর্থ-সামাজিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রাজ-বাদশাদের জীবন কাহিনী, যুদ্ধ-বিগ্রহ,

বিস্তারিত »